ব্রেকিং:
বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য নাটোরের তহবিল সংগ্রহ ভারী বর্ষণে দেবে গেল নাটোরে রেললাইন লালপুরে সড়কের অবৈধ স্থাপনা ও ভাসমান দোকান উচ্ছেদ লালপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু লালপুরে ট্রেনে কাটাপড়ে স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু এমপি শিমুল ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ সিংড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে যুবক নিহত নাটোরে ভুয়া ডাক্তার ধরল শিক্ষার্থীরা, ৫ হাজার টাকা জরিমানা নাটোরে সাবেক এমপি ডা. পাটোয়ারীসহ ৬২ জনের নামে মামলা
  • মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১ ১৪৩১

  • || ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজকের নাটোর
সর্বশেষ:
বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য নাটোরের তহবিল সংগ্রহ ভারী বর্ষণে দেবে গেল নাটোরে রেললাইন লালপুরে সড়কের অবৈধ স্থাপনা ও ভাসমান দোকান উচ্ছেদ লালপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু লালপুরে ট্রেনে কাটাপড়ে স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু এমপি শিমুল ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ সিংড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে যুবক নিহত নাটোরে ভুয়া ডাক্তার ধরল শিক্ষার্থীরা, ৫ হাজার টাকা জরিমানা নাটোরে সাবেক এমপি ডা. পাটোয়ারীসহ ৬২ জনের নামে মামলা
৩৩

সব দায় এড়িয়ে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ

আজকের নাটোর

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচ নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন। তবে কোনো দায় নেননি। পদত্যাগের কারণও বলেননি। শুধু ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির’ কথা উল্লেখ করেছেন। নিজেদের দায়িত্ব পালনকালে নানা আইনি সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন পদ্ধতির ওপর দায় চাপিয়েছেন তিনি। 

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পদত্যাগের ঠিক আগমুহূর্তে প্রেস ব্রিফিং করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়’ করার জন্য ডাকা এ ব্রিফিংয়ে তিনি ভবিষ্যতের সুষ্ঠু ভোটের জন্য সংবিধান থেকে বাদ পড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার কথা বলেন।

 

রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন থেকে সরকারের স্বৈরাচারী ও কর্তৃত্ববাদী হওয়ার পেছনে ধ্বংস হওয়া যাওয়া নির্বাচন ব্যবস্থা দায়ী হয়ে আসছে। কিন্তু আগের দুই সিইসি কাজী রকিব ও নূরুল হুদা কমিশনের মতোই সদ্য বিদায়ীরা কারও কথায় কর্ণপাত করেননি। ‘দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’– দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারবিরোধীদের এমন দাবির বিষয়ে পদে থাকতে চুপ ছিলেন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির কর্তারা। বিদায়ের আগে কাজী হাবিবুল আউয়াল সেই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার পক্ষেই অবস্থান নিলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে বিদায়ী সিইসি বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। ওই ভোট ছিল দলের ভেতরে, দলের মধ্যে হয়নি।’ তবে এই নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও অতীতের মতো ব্যাপক বিতর্কিত হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ ব্রিফিংয়ের শুরুতে কাজী হাবিবুল আউয়াল ৭০০ শব্দের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এর পর ‘নিজের অভিজ্ঞতার নিরিখে’ কিছু প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু বক্তব্য পাঠ শেষ হতেই সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। পরে সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। এর পর থেকেই পদত্যাগের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। 

ব্যর্থতা আড়াল করার চেষ্টা

কমিশনের এমন পদত্যাগকে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য আইওয়াশ বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। সমকালকে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের ওপর যে কর্তৃত্ববাদী সরকার চেপে বসেছিল, বিদায়ী কমিশন তার দোসর হিসেবে কাজ করেছে। সাংবিধানিক দায়দায়িত্ব পালনে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। নিজেদের দায়িত্বের কথা ভুলে গিয়ে তারা সরকারের নির্দেশনায় সরকারের ক্ষমতায় থাকার এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করেছে। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পরে তারা সাংবাদিক ডেকে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি করে বিদায় নেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে চেয়েছেন। তাদের এমন পদক্ষেপ নিজেদের অপরাধবোধের বহিঃপ্রকাশ বলেও মন্তব্য করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।       

ইসি সদস্যদের পদত্যাগের পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। তারা বিদায়ী ইসির সদস্যদের গণতন্ত্র হরণের দায়ে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য দায়ীদের মধ্যে অন্যতম নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক ব্যবস্থা লঙ্ঘনের জন্য তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। দখল-ডাকাতির নির্বাচনে কমিশন এককভাবে কীভাবে ফলাফল ঘোষণা করেছে? কেন পদত্যাগ করেননি? তাদের কাছে চাকরিটাই বড় ছিল, দেশ-রাষ্ট্রের কথা কি মনে ছিল না? 

গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ সমকালকে বলেন, এই কমিশনকে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেই পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেটা তারা করেনি। তৎকালীন সরকারের জালিয়াতির নির্বাচনের সহায়তা করেছে এই কমিশন। ওই জালিয়াতির নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার ও নির্বাচন কমিশন সমান দায়ী। 

তিনি বলেন, এই কমিশনকেও আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার, এই কাজটি তারা কেন করল? আর ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার পরও কেন তারা ৪০ থেকে ৪২ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি দেখাল? 

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এই নির্বাচন কমিশন অগ্রহণযোগ্য ছিল। তারা একটি প্রহসনের এবং ‘আমি এবং ডামির’ নির্বাচন সম্পন্ন করেছিলেন। 

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনসহ আগের নির্বাচন কমিশনগুলোর কর্মকাণ্ড ও তাদের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোর বিষয়েও তদন্ত হওয়া দরকার। তারা অতীত কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে দোষী হয়ে থাকলে সেভাবেই তাদের দোষী সাব্যস্ত করা দরকার।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ডামি নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের পাশাপাশি এই নির্বাচন কমিশনও দায়ী। দেশের জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান, নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে কলুষিত করার বিষয়টি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শুধু এই নির্বাচন কমিশনই নয়, বিগত তিনটি নির্বাচন কমিশনকেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তারা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের মতো ব্যবহৃত হয়েছে। এই অন্যায়, অপরাধ এবং পাপের শাস্তি হতে হবে। তারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করেছে। 

কেবল কমিশনের পুনর্বিন্যাসে হবে না 

কাজী হাবিবুল আউয়াল তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন স্থগিত বা বাতিল করে দেওয়ার মতো কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি ছিল না। সে কারণে অনেকেই কমিশনকে দোষারোপ করছেন। নির্বাচন কখন, কী কারণে, কত দিনের জন্য স্থগিত করা যাবে, তাও সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। অতীতে কখনোই কোনো কমিশন নির্বাচন বাতিল করে দিয়ে পদত্যাগ করেনি। সম্প্রতি ভেঙে দেওয়া সংসদের ২৯৯টি আসনে নির্বাচন প্রার্থীদের মধ্যে ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হয়েছে; দলের মধ্যে নয়। ২৯৯ আসনে এক হাজার ৯৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

পদত্যাগী সিইসি বলেন, নির্বাচন নিষ্পন্ন করা অতিশয় কঠিন একটি কর্মযজ্ঞ। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হওয়ার সব দোষ বা দায়দায়িত্ব সবসময় কেবল নির্বাচন কমিশনের ওপর এককভাবে আরোপ করা হয়ে থাকে। একটি কমিশন না হয় অসৎ বা পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে; কিন্তু সবসময় সব কমিশনই অসৎ বা পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে না। কমিশন বিভিন্ন কারণে নির্ভেজাল ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে অক্ষম বা অসমর্থ হতে পারে। 

তিনি বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায়  কেবল কমিশনের পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে অবাধ, নিরপেক্ষ, কালোটাকা ও পেশিশক্তি-বিবর্জিত এবং প্রশাসন-পুলিশের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে না। নির্বাচনী পদ্ধতিতে দুর্ভেদ্য মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন হবে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও আচরণে এবং বিশেষত প্রার্থীদের আচরণে পরিবর্তন প্রয়োজন হবে।

প্রসঙ্গ সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন

কাজী হাবিবুল আউয়াল ভবিষ্যতে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, জনগোষ্ঠীর সমরূপতার কারণে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (দলভিত্তিক) নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ ক্ষেত্র হতে পারে। সেই সঙ্গে নির্বাচন চার বা আটটি পর্বে, প্রতিটি পর্বের মাঝে তিন থেকে পাঁচ দিনের বিরতি রেখে, অনুষ্ঠান করা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে সহজ ও সহায়ক হতে পারে। অনলাইনে নমিনেশন দাখিল অব্যাহত রেখে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তির ব্যবহার অপটিমাইজ করতে পারলে উত্তম হবে। প্রতিটি সাধারণ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হলে উদ্দেশ্য অর্জন আরও সুনিশ্চিত হতে পারে। 

সব নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন

অতীত নির্বাচনের ইতিহাস তুলে ধরে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ১৯৭৩ সালে দেশের প্রথম নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক ছিল। ১৯৭৯ ও ১৯৮৭ সালের সাধারণ নির্বাচন সামরিক শাসনামলে হয়েছে। সেসবের ফলাফল নিয়ে বিতর্ক ছিল। ১৯৯১-এর নির্বাচন  রাজনৈতিক রূপরেখার ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছিল। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচন সাংবিধানিক নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে, সূক্ষ্ম কারচুপির সীমিত সমালোচনা সত্ত্বেও সার্বিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচন সেনাসমর্থিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচনে বিএনপি সংসদে ২৭টি এবং আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পেয়েছিল। নির্বাচন বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না। নিরাপদ প্রস্থান বা সেফ এক্সিট বিষয়ে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে সেনাসমর্থিত বেসামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দরকষাকষির বিষয়টি প্রকাশ্য ছিল। সে প্রশ্নে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের অবস্থানও গোপন ছিল না। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন সংবিধানমতে দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ অনেক দলই অংশগ্রহণ করেনি। ফলে সেই নির্বাচনও ২০২৪ সালের মতো অন্তর্ভুক্তিমূলক ছিল না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করে আসন পেয়েছিল মাত্র ছয়টি, পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৫৮টি; মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।’ 

বিএনপির নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে পদত্যাগী সিইসি বলেন, ‘৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৮টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও প্রধানতম বিরোধ দল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে। নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। কমিশন বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য একাধিকবার আহ্বান করা সত্ত্বেও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, না করার বিষয়টি দলের নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়।’

প্রথমবারের মতো সিইসি ও ইসি নিয়োগে আইন প্রণয়নের পর সার্চ কমিটির মাধ্যমে ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতির কাছে শপথ নিয়ে দায়িত্ব দেন তারা। এই সার্চ কমিটি গঠন নিয়েও তৎকালীন সরকারবিরোধী দলগুলো ব্যাপক আপত্তি তোলে। একতরফা সরকার এ কমিশন গঠন করলেও দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি আউয়াল কমিশনকে এক মুহূর্তের জন্যও মেনে নেয়নি। নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক সংস্কারের কথা বলা হলেও নতুন করে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ কতদিনের মধ্যে দেওয়া হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর আগে ২০০৭ সালে বিচারপতি এম এ আজিজ কমিশনের সময়ে সর্বোচ্চ ছয় সদস্যের কমিশন ছিল; সবার পদত্যাগের মধ্যে সপ্তাহখানেক শূন্য ছিল এসব পদ। 
গতকাল দুপুর সোয়া ১২টার দিকে লিখিত বক্তব্য শেষ করেন বিদায়ী সিইসি। এর পর দ্রুত কমিশন ত্যাগ করেন তিনি। বাইরে এক দল লোক তখনও বিক্ষোভ করেন। কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন তারা। রাশেদা সুলতানা ও আনিছুর রহমান ভবন থেকে বের হয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষুব্ধরা জুতা ছোড়েন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। নির্বাচন ভবনের ভেতরে ও বাইরে সেনাসদস্যরা ছিলেন। 

আজকের নাটোর
আজকের নাটোর
জাতীয় বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর