রেমালের ধাক্কা কাটিয়ে উঠছে সুন্দরবন
আজকের নাটোর
প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৪
দীর্ঘদিনের দাবদাহ ও ঘূর্ণিঝড় রেমালের উচ্চ জলোচ্ছ্বাসে লবণ পানিতে প্লাবিত হওয়ার পর মধ্য আষাঢ়ে বৃষ্টির ফোঁটা পেয়ে সুন্দরবন প্রাণ প্রাচুর্যে ভরে উঠতে শুরু করেছে। সজীব হয়ে উঠছে সুন্দরবনের গাছপালা ও তরুলতা। পর্যটকদের আগমন বন্ধ থাকায় সুনসান নীরবতায় এখন শান্ত, স্নিগ্ধ, নিরিবিলি—এ এক অন্যরকম সুন্দরবন। যা সুন্দরবনের মাছ ও বন্যপ্রাণীর বংশবৃদ্ধি, অবাধ বিচরণ, প্রজনন কার্যক্রম এবং নতুন উদ্ভিদের অঙ্কুরোদগমের জন্য অনুকূল পরিবেশ।
সুন্দরবনের অতুলনীয় প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য সবসময়ই মানুষের কাছে আকর্ষণীয়। পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ, বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ অরণ্য, নদী, উপনদী ও শাখানদীর জটিল জাল—সবমিলিয়ে সুন্দরবন এক অপরিসীম রহস্য। এ কারণে পর্যটকেরা বারবার ফিরে আসে বাঘ-হরিণের রাজ্য সুন্দরবনে। ফলে এই বন সব সময় নানাভাবে দূষণের শিকার হয়। যার মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ওপর।
সর্বশেষ গত ২৬ মে ভোরে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে বঙ্গোপসাগরসংলগ্ন সুন্দরবনে। এ সময় বঙ্গবন্ধুরচর, পুটনিরচরসহ বঙ্গোপসাগরসংলগ্ন সুন্দরবনে সর্বোচ্চ ২০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়। বন বিভাগ সূত্র জানায়, সুন্দরবনের যে সব জায়গা সবচেয়ে উঁচু তা সর্বোচ্চ আট ফুট। অথচ রেমালের সময় জলোচ্ছ্বাসে সেখানে পানি ওঠে ১০-১২ ফুট। টানা ৩৬-৩৭ ঘণ্টা শতাধিক মিষ্টি পানির পুকুরসহ পুরো সুন্দরবন লবণ পানির নিচে ছিল। এর আগে এ রকম জলোচ্ছ্বাস সুন্দরবনে কখনো হয়নি। যা ছিল সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ।
এদিকে সুন্দরবনের নদীখালের মাছ, বনে প্রাণীদের অবাধ বিচরণ ও প্রজনন এবং উদ্ভিদের অঙ্কুরোধগম কার্যক্রম সুরক্ষার জন্য প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১ জুন থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত-টানা তিন মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সুন্দরবনের দুয়ার। এ সময় পর্যন্ত (বর্ষাকাল) পর্যটকদের প্রবেশ, নৌযানসহ জেলে-মৌয়ালদের চলাচল এবং সুন্দরবনের নদী-খালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞা মেনে ১ জুনের আগেই গহিন সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে ফিরে গেছেন উপকূলীয় অঞ্চলের জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালরা।
সূত্রমতে, সুন্দরবন নানা ধরনের প্রাণবৈচিত্র্যে অনন্য। বেঙ্গল টাইগারের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল সুন্দরবন। এই বনে প্রায় ২৮৯ প্রজাতির স্থলজ প্রাণী বাস করে। এছাড়া আছে প্রায় ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ ২১৯ প্রজাতির জলজ প্রাণী। সুন্দরবনে আরো আছে ৩৫০ প্রজাতির পাখি। তাছাড়া সুন্দরবনের কীটপতঙ্গের বৈচিত্র্যও সীমাহীন।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনের অধিকাংশ বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন এবং গাছের অঙ্কুরোধগম হয়, গাছের চারা গছায়। ফলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্দেশে এই সময়ে মানুষের চলাচলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যাতে এই সময় সুন্দরবনের মাছ ও বন্যপ্রাণীরা অবাধে বিচরণ করতে পারে; তাদের প্রজনন এবং গাছের অঙ্কুরোধগম বাধাগস্ত না হয়। ইতিমধ্যে এই নিষেধাজ্ঞার সুফলও মিলেছে।
সুন্দরবনসংলগ্ন দাকোপ উপজেলার ছুতারখালী ইউনিয়নের কালাবগি গ্রামের জেলে সালাম মোল্লা বলেন, সুন্দরবনের নদী-খালে তিন মাসের জন্য মাছ ধরা বন্ধ থাকায় আমাদের মতো জেলেদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। এই সময় অন্য কাজ করছি। এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর আমরা নদী-খাল থেকে আরো বেশি মাছ ধরতে পারব।
কয়রা উপজেলার কয়রা সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাজমুল সরদার বলেন, তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক ও জেলে-বাওয়ালিদের যাওয়া বন্ধ থাকার কারণে বন্যপ্রাণীরা অবাধে চলাচল করতে পারছে।
সুন্দরবন বন বিভাগের সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, জুন থেকে আগস্ট (বর্ষাকাল) পর্যন্ত সুন্দরবনের নদী-খালের মাছ এবং বন্য প্রাণীদের অবাধ বিচরণ ও প্রজননকাল। এছাড়া এই সময় সুন্দরবনের উদ্ভিদের অঙ্কুরোধগম ও চারা গজানোর সময়। ফলে সুন্দরবন ও সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্দেশে এই তিন মাসকে সবার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এই নিষেধাজ্ঞার ইতিবাচক ফলাফলও পাওয়া গেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা আশা করছি, দুই-এক দিনের মধ্যে মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হলে সুন্দরবনের পুকুরগুলো মিষ্টি পানিতে ভরে যাবে। ফলে বন্যপ্রাণীদের খাওয়ার পানির সংকটও কেটে যাবে।
- নলডাঙ্গায় শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগে যুবক কারাগারে
- লালপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মা ও মেয়ের মৃত্যু
- নলডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্র নিহত
- গুরুদাসপুরে মাটির শয়ন ঘর থেকে ৫০টি বিষধর সাপের বাচ্চা উদ্ধার
- বন্যা মোকাবিলায় সাড়ে তিন লাখ ডলার দিল যুক্তরাষ্ট্র
- ড. ইউনূসের আপিল দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের
- চীনের অর্থায়নে পণ্যবাহী জাহাজ কিনছে সরকার
- সুনীল অর্থনীতির জন্য গবেষণার আহ্বান নৌপ্রতিমন্ত্রীর
- শুক্রবার পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠান
- বৈচিত্র্যময় পাটপণ্য রপ্তানিতেও মিলবে নগদ সহায়তা
- দরিদ্রের অংশগ্রহণ বাড়ছে
- দুর্নীতির বিরুদ্ধে আসতে পারে কঠোর নির্দেশনা
- সম্পর্ককে নতুন রূপ দিতে চায় ঢাকা-বেইজিং
- চিকিৎসা যন্ত্রপাতির সুষ্ঠু ব্যবহারের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর
- বিশ্বায়নের যুগে দরজা বন্ধ রাখতে পারি না
- বাগাতিপাড়ায় ছিনতাইকারীর হামলায় আহত ইজিবাইক চালকের মৃত্যু
- বাগাতিপাড়ায় এক হাজার প্রান্তিক কৃষক পেল প্রণোদনার সার ও বীজ
- ছেলের সঙ্গে এসএসসি পাস, এবার দিচ্ছেন এইচএসসি পরীক্ষা
- সৌদি থেকে দেশে ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৮৩ হাজি
- দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- দায়ীদের শক্তভাবে ধরতে চায় সংসদীয় কমিটি
- বিএডিসির মাধ্যমে সাড়ে ১১ হাজার কিমি খাল খনন
- বৈরী আবহাওয়াতেও চলবে উড়োজাহাজ
- কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারটি ইউনিট সচল, ১৬৪ মে.ও. উৎপাদন
- নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন সাত পর্যায়ে, যুক্ত হচ্ছে বর্ণ
- এনআইডির জন্য আলাদা জনবল কাঠামো হচ্ছে
- শিক্ষকদের আলোচনায় ডাকবে সরকার
- হিসাব দিতেই হবে সম্পদের
- বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অন্যদের জন্য মডেল: প্রধানমন্ত্রী
- আগস্টে বন্যার শঙ্কা আগাম প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ২০ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড সিংড়া
- দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
- নাটোরে দুলাভাইয়ের ঘুষির আঘাতে শ্যালক নিহত
- তালিকা তৈরি হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের
- দুই বিভাগে টানা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
- ঈদের দিন যেসব এলাকায় হতে পারে অতিভারী বৃষ্টি
- পিএইচডি ডিগ্রি চালু হচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে
- খুলছে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার, বৈধতা পাবেন ৯৬ হাজার
- ৫০টি বিলিয়ন ডলার কোম্পানি গড়ে তোলা হবে: পলক
- নাটোরে মাসব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু
- দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি
- দেশের চেয়ে কম দামে বিদ্যুৎ দিচ্ছে নেপাল
- দাম কমলো এলপি গ্যাসের
- নলডাঙ্গায় ৩০ মণ ওজনের যুবরাজে স্বপ্ন দেখছেন কৃষক
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট হচ্ছে কৃষি
- জুনের প্রথম সপ্তাহে এলো ৭২ কোটি ডলার
- নাটোরে ২৫০০ কোটি টাকার পশু বিক্রির সম্ভাবনা
- ডিসেম্বরে সাগর ছুঁয়ে নামবে বিমান
- সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যাদুর্গতদের পাশে আনসাররা
- লালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবকের মৃত্যু
- লালপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু
- অ্যান্টিভেনম তৈরি হচ্ছে চট্টগ্রামে
- নলডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল এক ব্যাক্তির
- লালপুরে আগুনে পুড়ল আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬টি ঘর
- গুরুদাসপুরে খাল খননে দূর হলো জলাবদ্ধতা
- আরও সাড়ে ১৮ হাজার ভূমিহীনের জন্য ঘর
- বিদেশি বিনিয়োগ আসবে ৮০০ কোটি ডলার
- বুয়েটে স্থাপন হচ্ছে অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব
- চট্টগ্রাম ও সিলেটে পাহাড় ধসের সতর্কবার্তা
- এবার চাহিদার চেয়ে পশু বেশি